Sunday, June 5, 2016

খ্রিষ্টান ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/879715/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE


নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গতকাল রোববার দুপুরে সুনীল গোমেজ (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার বনপাড়া খ্রিষ্টানপাড়ায় দুপুর ১২টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুনীল গোমেজকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’ আইএসের সংবাদ সংস্থা আমাকের বরাত দিয়ে এক টুইটার বার্তায় এ খবর প্রচার করছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দায় স্বীকার করার দাবি জানাল আইএস। একই বার্তায় গত মাসে বান্দরবানে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে আইএস।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) শ্যামল কুমার মুখার্জি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সুনীল গোমেজ বনপাড়ায় নিজের বাড়ির সাথের দোকানে মুদি ব্যবসা করতেন। তিনি নিজের মুদিদোকানে বসে ছিলেন। সেখানেই হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তাঁর ঘাড়ের পেছনে ধারালো অস্ত্রের তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দারা জানান, সুনীল গতকাল সকালে বাড়ির পাশের গির্জায় সাপ্তাহিক প্রার্থনায় যোগ দেন। প্রার্থনা শেষে বনপাড়া বাজারে কিছু জিনিসপত্র কেনার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া মুদিদোকানে বসেন। দুপুর ১২টার কিছু পর দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুজন ভ্যানচালক দোকানে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে ছুটে যায়।
বেলা দেড়টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহত সুনীলের শরীরের ওপরের অংশ দোকানের বাইরের দিকে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতের মুঠোয় কিছু টাকা তখনো ধরা।
দোকানটি আধা পাকা বসতবাড়ির একটি কক্ষে হলেও বাড়ির ভেতরের কেউ এ ঘটনা বুঝতে পারেনি বলে জানান ওই বাড়িতে ভাড়া থাকা রিজিয়া বেগম।
সুনীলের মেয়ে স্বপ্না গোমেজের বিয়ে হয়েছে কয়েক বাড়ি পরেই। ছেলে স্বপন বছর খানেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। খবর পেয়ে স্বপ্না ছুটে আসেন বাবার বাড়িতে। তিনি জানান, ওই বাড়িতে তাঁর বাবা ও মা থাকতেন। দুটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া ছিল। মা জাসিনতা গোমেজ তাঁর অসুস্থ নানিকে দেখতে গত শনিবার পাবনার চাটমোহরে গেছেন।
স্বপ্না বলেন, তাঁর বাবা আগে বিভিন্ন গির্জায় মালির কাজ করতেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় মালির কাজ ছেড়ে বাড়ির একটি কক্ষে মুদিদোকান খুলে বসেন। তাঁর কোনো শত্রু ছিল বলে তাঁদের জানা নেই। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, সাপ্তাহিক প্রার্থনার দিন হওয়ায় প্রতিবেশীরাও ওই সময় নিজ নিজ বাড়িতে বা গির্জায় সময় কাটাচ্ছিলেন। তাই কেউ কিছু বুঝতে পারেননি।
বনপাড়া ধর্মপল্লির সহসভাপতি ব্যানেডিক গোমেজ জানান, আশঙ্কা করা হচ্ছে যে দুর্বৃত্তরা ক্রেতা সেজে দোকানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
প্রথম আলোর দিনাজপুর অফিস জানায়, সুনীল গোমেজের ছোট ভাই প্রশান্ত গোমেজ রংপুর জেলার খাইলশা মিশনের ফাদার। এর আগে তিনি দিনাজপুরের মরিয়ামপুর চার্চের ফাদার ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারে ছয় ভাইয়ের মধ্যে নিহত সুনীল সবার বড়। ধার্মিক ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না।
প্রশান্ত গোমেজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দিনাজপুরে ধর্মযাজক পিয়েরো পিচমের ওপর আক্রমণের পর থেকে বিভিন্ন মিশনে কর্মরত যাজকেরা উদ্বিগ্ন আছেন। অথচ আমরা সব সময় সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করি। কিন্তু এবার আক্রমণ হলো খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের ওপর। এটা অপ্রত্যাশিত।’
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক ইনাম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক মাসে রাজশাহী ও এই অঞ্চলের জেলাগুলোতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যে হামলাগুলো চালানো হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দিনাজপুরে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক পিয়েরো পিচম, হোমিও চিকিৎসক এবং ঈশ্বরদীতে খ্রিষ্টান যাজক লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
সুনীল গোমেজ হত্যার প্রতিবাদে বনপাড়া ধর্মপল্লির পক্ষ থেকে গতকাল বিকেলে বনপাড়া চার্চের সামনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন সমবেত হয় এবং বনপাড়া বাজারে নাটোর-পাবনা সড়কে মানববন্ধন করে।

Tuesday, April 5, 2016

অর্থ পাচারে রাষ্ট্রনেতারা ......Money laundering


মোসাক ফনসেকা নামে পানামার একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। গতকাল সোমবার ফাঁস হওয়া এসব নথিতে বিশ্বের শতাধিক ক্ষমতাধর মানুষ বা তাঁদের নিকটাত্মীয়দের বিদেশে টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তালিকায় দেখা গেছে যে চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বা তাঁদের আত্মীয় এসব অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। শুধু রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানেরাই নন, বিশ্বখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসি থেকে ভারতীয় চিত্রনায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই—তালিকায় আছে অনেকেরই নাম। আছেন অমিতাভ বচ্চনও। মেক্সিকোর মাদকসম্রাট বা সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কালো তালিকায় থাকা ব্যবসায়ীরাও বাদ যাননি এ তালিকা থেকে।
আফ্রিকার দরিদ্র দেশ আইভরিকোস্ট, অ্যাঙ্গোলা থেকে শুরু করে ধনী যুক্তরাজ্য—সব দেশেরই ক্ষমতাধরেরা ৪০ বছর ধরে মোসাক ফনসেকার সহযোগিতায় অর্থ পাচার, কর ফাঁকি দিয়ে দেশের বাইরে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিখ্যাত, মোসাক ফনসেকা সেগুলোর একটি। পানামার এ প্রতিষ্ঠানের অজস্র নথি ফাঁসের এ ঘটনা ‘পানামা পেপারস’ নামে খ্যাত হয়ে উঠেছে।
অজানা সূত্র থেকে মোসাক ফনসেকার ওই ১ কোটি ১৫ লাখ নথি জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতংয়ের হাতে আসে। পত্রিকাটি সেসব নথি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসকে (আইসিআইজে) দেয়। ১৯৭৭ থেকে ২০১৫, প্রায় ৪০ বছরের এসব নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার কিছু অংশ আইসিআইজে প্রকাশ করে। আগামী মে মাসে আরও নথি প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
আইসিআইজের ওয়েসসাইটে থাকা প্রতিবেদনে বলা হয়, মোসাক ফনসেকার নথিতে বিশ্বের ২০০ দেশের ২ লাখ ১৪ হাজার ব্যক্তির টাকা পাচারের নথি আছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে ১৪০ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাজনীতিকের নাম রয়েছে। এসব ব্যক্তি বিশ্বের ২১টি কর রেয়াত পাওয়া অঞ্চলে পাঠানো টাকায় গড়ে তুলেছেন তথাকথিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
আইসিআইজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোসাক ফনসেকার নথিতে খুঁজে পাওয়া গেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র চীনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণাকারী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বড় বোনের জামাই দেং জিয়াগুয়ের নাম। এই আবাসন ব্যবসায়ীর সম্পদের বিষয়ে ২০১২ সালে ব্লুমবার্গ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ও তাঁর স্ত্রীর এ খাতে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ রাষ্ট্র সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুলরহমান আল সৌদের নাম উঠে এসেছে তালিকায়। আইসিআইজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে বাদশাহ সালমানের মন্তব্য জানতে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাদশাহর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
রাশিয়ার শক্তিধর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাল্যকালের দুই বন্ধু আরকাদি ও বরিস রোতেনবুর্গ ভ্রাতৃদ্বয়ের নাম উঠেছে তালিকায়। দুই ভাই রাষ্ট্রায়ত্ত নানা খাতে ঠিকাদারি কাজ করে কোটি কোটি ডলার কামিয়েছেন। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচি অলিম্পিক গেমসে ৭০০ কোটি ডলার দুর্নীতির দায়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
পুতিনের আরেক বন্ধু সের্গেই রোলদুগিনের নামও আছে তালিকায়। তিনি নিজেকে ‘পুতিনের প্রায় ভাইয়ের মতো’ বলে পরিচয় দেন। পুতিনের এই সংগীতজ্ঞ বন্ধুর সঙ্গে গত সপ্তাহে আইসিআইজের যোগাযোগ হয়। তিনি পাচারের বিষয়ে জবাব দিতে সময় চেয়েছেন।
তালিকায় আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও মেয়ের নাম। নওয়াজের দুই ছেলে হাসান ও হুসেন নওয়াজ শরিফ এবং মেয়ে মরিয়ম সফদার ইস্পাত, চিনি ও কাগজের মিলের মালিক। অবৈধ সম্পদ অর্জন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের দায়ে বাবা ও ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল আগেই। তাঁদের এসব অভিযোগে দেশ থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান ছাড়াও সাবেক শাসক বা তাঁদের আত্মীয়দের অর্থ পাচারের নথি মিলেছে তালিকায়। এর মধ্যে আছে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ছেলে আলা মোবারকের নাম। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার দুই মাসের মাথায় হোসনি মোবারক, ছেলে আলা ও গামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য মুক্তি পান মোবারকের দুই ছেলে।
বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রয়াত বাবা ইয়ান ক্যামেরনের নাম এসেছে তালিকায়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ব্যবসা করতেন ২০১০ সালে মারা যাওয়া ইয়ান ক্যামেরন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার ভাতিজা ক্লিভ খুলুবুসুজে জুমা বিদেশে অর্থ পাচার করেছিলেন। খনির মালিক এই ক্রোড়পতির ১৯টি গাড়ি আছে বলে জানা যায়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মামাতো দুই ভাই রামি ও হাফেজ মাখলুফের নাম মোসাক ফনসেকার তালিকায় উঠে এসেছে। তেল ও টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন রামি। আর হাফেজের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবসা আছে।
বিশ্ব ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র লিওনেল মেসি ও তাঁর বাবার নাম আছে এ তালিকায়। নথি অনুযায়ী, বাবা-ছেলে মিলে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেগা স্টার এন্টারপ্রাইজের নামে অর্থ পাচার করেছেন। এখন স্পেনে কর ফাঁকি দেওয়ার একটি অভিযোগ আছে মেসির বিরুদ্ধে।
আইসিআইজে বিশ্বের ১১০টি সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। এই শত সংগঠনের মধ্যে আছে ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। পত্রিকাটি বলছে, অন্তত ৫০০ ভারতীয়র নাম মোসাক ফনসেকার তালিকায় আছে। এর মধ্যে মুম্বাই চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই, তাঁর বাবা কোটেদাদি রামনা রাইকৃষ্ণ রাই, মা বৃন্দাকৃষ্ণ রাজ রাই এবং ভাই আদিত্য রাই অ্যামিক পার্টনার্স লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির নামে টাকা পাচার করেছিলেন। শুরুতে এ কোম্পানির লগ্নি ছিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
মুম্বাইয়ের খ্যাতিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের নামও আছে তালিকায়। তিনি নিজে অন্তত চারটি বিদেশি জাহাজনির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন। এসব কোম্পানির একটি গড়ে ওঠে কর রেয়াতকারী ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে, বাকি তিনটি বাহামা দ্বীপপুঞ্জে।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছেন আবাসন ব্যবসায়ী কে পি সিং, ধনকুবের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বড় ভাই বিনোদ আদানি, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক শিশির বাজোরিয়া প্রমুখ।
বিশ্বনেতাদের অনেকেরই অর্থ পাচারের তালিকায় নাম উঠে এলেও কোনো কোনো বিশ্বনেতা এই তালিকা প্রকাশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ তালিকা প্রকাশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৫০০ ভারতীয়র নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মোদির এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, এর তদন্তে বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত নথিতে বাংলাদেশের কারও নাম নেই। তবে আগামী মে মাসে সম্পূর্ণ নথি প্রকাশ করা হলে বাংলাদেশের কারও নাম আছে কি না, জানা যাবে। এর আগে আইসিআইজে ২০১৩ সালে অর্থ পাচারের একই ধরনের তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানে বাংলাদেশের ৩৪ জনের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরাও ছিলেন।
http://www.prothom-alo.com/international/article/820504/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE

Thursday, December 10, 2015

Money laundering

সূত্র: গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি
Global Financial Integrity (GFI)....বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে আরও ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ৭৬ হাজার ৩৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পাচার হওয়া এই অর্থ আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) গতকাল বুধবার অর্থ পাচারের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জিএফআই সাত বছর ধরে উন্নয়নশীল দেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে পাচার হয়, তা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এবার ‘উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে অবৈধ অর্থের প্রবাহ ২০০৪-১৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত আমদানি-রপ্তানির সময়ে পণ্যের প্রকৃত মূল্য গোপন করার মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ওই অর্থ বাংলাদেশের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, পল্লী উন্নয়ন, শিল্প ও ভৌত অবকাঠামো খাতের মোট উন্নয়ন বাজেটের সমান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম অর্থ পাচার রোধে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সমন্বিতভাবে অনুসন্ধানের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দু–তিন বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্থবির। অর্থ পাচারের বড় কারণ হয়ে থাকতে পারে এটা।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়টি নিয়ে এনবিআর আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে একটি বিশেষ সেল খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এনবিআর নিবিড়ভাবে কাজ করছে। প্রতিনিয়তই এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এ তিনটি কার্যক্রম একসঙ্গে চলমান থাকলে অর্থ পাচার রোধ চূড়ান্ত রূপ লাভ করবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ২০১২ সালের রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিল জিএফআই। সে সময়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আগামী দিনেও অর্থ পাচার অব্যাহত থাকবে। কোনো আইন করে এটা ঠেকানো যাবে না। কেননা, টাকা পাচারের বিষয়টি অনেকাংশে সুশাসনের সঙ্গে জড়িত।
আহসান মনসুরের আশঙ্কা সত্যি বলেই প্রমাণিত হয়েছে। গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। এতে বেশি অর্থ পাচার হওয়া দেশের তালিকায় খারাপ অবস্থানে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ছিল ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৫১তম। আর এবার বাংলাদেশ ১৪৯টি দেশের মধ্যে হয়েছে ২৬তম।
বর্তমানে দেশের বাইরে থাকা আহসান মনসুর এক বছর আগে আরও বলেছিলেন, যাঁরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থসম্পদ গড়েন, তাঁরা টাকা পাচার করেন। এর পাশাপাশি দেশের শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ নিজেদের পরিবার এবং সন্তানদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য বিভিন্নভাবে অর্থ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা মনে করছে, যেভাবে ব্যবসা, কারখানা ও সম্পদ এ দেশে তারা গড়ে তুলেছে, তাদের সন্তানেরা তা পারবে না।
জিএফআইয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে ২০০৪ সাল থেকে অর্থ পাচারের হিসাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে ২০১২ ও ২০১৩ সালে। যেমন ২০১২ সালে অর্থ পাচারের পরিমাণ ৭২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ২০০৪ সালে পাচার হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ২০০৫ সালে ৪২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার, ২০০৬ সালে ৩৩৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০০৭ সালে ৪০৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ৬৪৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২০০৯ সালে ৬১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ৯০ লাখ ডলার এবং ২০১১ সালে পাচার হয় ৫৯২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
সব মিলিয়ে ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। এই অর্থ দিয়ে অন্তত দুই বছরের বাজেট তৈরি করতে পারত বাংলাদেশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গড়ে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
জিএফআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভ কার ও অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্পানজারস বরাবরের মতো এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। ডেভ কার এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থনীতিবিদ ছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন দেশের লেনদেনের ভারসাম্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেছেন। আর এসব পরিসংখ্যানের উৎস হচ্ছে আইএমএফ। এবারের প্রতিবেদনে ২০০৩ সালের তথ্য দেওয়া ছাড়াও আগের বছরগুলোর পরিসংখ্যান হালনাগাদ করা হয়েছে। এই গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফিনল্যান্ড সরকার।
গবেষণায় মূলত দুভাবে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রেড মিসইনভয়েসিং বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চালানের গরমিলের মাধ্যমেই বেশি পরিমাণ অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পণ্য আমদানি-রপ্তানির চালানে প্রকৃত মূল্য আড়াল করে কমবেশি দেখিয়ে একদিকে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে মোটা অঙ্কের অর্থ দেশে না এনে বাইরেই রেখে দেওয়া হয়েছে। অপরটি হলো আন্তর্জাতিক লেনদেনে গরমিল, তবে এর মধ্যে ভুয়া চালান দেখিয়েই অর্থের ৮৩ শতাংশ পাচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকেও দুভাবে অর্থ পাচার হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয় আমদানি-রপ্তানিতে পণ্যের প্রকৃত মূল্য আড়াল করার মাধ্যমে। যেমন গত ১০ বছরে এভাবে পাচার করা অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৯১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০১৩ সালে পাচার হয় ৮৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অন্যান্য বছরের মধ্যে ২০০৪ সালে পাচার হয় ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ২০০৫ সালে ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, ২০০৬ সালে ২৭৩ কোটি, ২০০৭ সালে ৩৩৪ কোটি ২০ লাখ ডলার, ২০০৮ সালে ৬১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার, ২০০৯ সালে ৫৪৩ কোটি ডলার, ২০১০ সালে ৫০০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০১১ সালে ৪৭৫ কোটি ডলার এবং ২০১২ সালে পাচার হয়েছে ৬৫৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী, ১০ বছরে গড়ে প্রতিবছর আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পাচার হয়েছে ৪৯৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
অর্থ পাচারের এই ধরন নিয়ে এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সবশেষে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানির আড়ালে অর্থ পাচারের কথা সবাই জানেন, আমার তো মনে হচ্ছে, রপ্তানির আড়ালেও অর্থ পাচার হতে পারে।’ গত মাসে দেশের যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার পেছনেও অর্থ পাচার থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছেন তিনি।

Tuesday, November 17, 2015

"Sin"

What is Sin?

Sin is the argument over wrong work. May we interested to do sin? We do the bad work and that is harmful for people. People suffer for our worst work.

.....................
Please write your opinion 

Thursday, June 13, 2013

Bangldesh national university





The National University was established in 1992 under an act of Parliament of the Government of the people's republic of Bangladesh with features distinct from those of the traditional Universities of the country. The National University caters the general education at graduate and post-graduate level in colleges/institutions which were affiliated to different public universities since independence. About one million students are studying in more than 1600 colleges/institutions affiliated to this university. The National University is expanding in terms of number of students, courses and institutions day by day. To day this university plays the most significant role to provide opportunities for higher education among the students living especially in rural and semi-urban areas. The university has taken a lot of important steps to improve the standard of education by formulating a modern uniform curriculum, providing training of the teachers and supplying teaching materials to the affiliated institutions.